একটি ভিন্ন ধরনের মাথা ব্যথা। মেয়েদের মাঝে এ রোগ বেশী দেখা যায়। তবে পুরুষেরও এ রোগ হতে পারে।

মাথার ভেতরের রক্তচলাচলের তারতম্যের কারণে এই রোগ হয়। রক্ত চলাচল কমে গেলে হঠাত্ করে চোখে সব অন্ধকার দেখা যায়, এবং পরবর্তীতে রক্ত চলাচল হঠাত্ বেড়ে গিয়ে প্রচন্ড মাথা ব্যথার অনুভূতি তৈরী হয়।

মানসিক চিন্তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, ঘুমের ব্যঘাত, অবসাদ ইত্যাদি মাইগ্রেনের ব্যথার কারণ হতে হবে৷

মাইগ্রেনের ব্যথা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে বা কমে গেলে ধতুস্রাবের সময় মহিলাদের এই ব্যথা অনুভূত হয়৷

অনেকের ক্ষেত্রে রক্তচাপ সঠিক পরিমাণে না হলে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে৷ যদিও অনেকের ক্ষেত্রে মাইগ্রেন জিন থেকেও এই ব্যথা হতে পারে৷

চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি খাবার, জন্ম বিরতীকরণ ওষুধ, দুঃচিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম ইত্যাদির কারণে এই রোগের সূচনা হতে পারে।

করণীয় :

Google

১. যাদের এ রোগ আছে, তাদের অন্তত: দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম আবশ্যক।

২. অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা ।

৩. কড়া রোদ বা তীব্র ঠাণ্ডা পরিহার করতে হবে ।

৪. উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।

৫. বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।

৬. সে সব খাবার খেলে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে সে সব খাবার যেমন কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রীম, মদ ইত্যাদি বর্জন করা উচিত।

৭. অধিক সময় উপবাস থাকা যাবে না।

৮. জন্মবিরতীকরন পিল সেবন না করা শ্রেয়। প্রয়োজনে অন্য পদ্ধতি বেছে নেয়া ভাল।

৯. পরিশ্রম, মানষিক চাপ এবং দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেনের আক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃজেনে নিন কিডনি স্টোন হলে তার চিকিৎসার উপায়!

Leave a comment