যদি কোন ব্যক্তি নিজে মাইগ্রেন নামক রোগে আক্রান্ত না হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো তিনি ভাববেন যে মাইগ্রেন মানে শুধুমাত্র প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা করা। কিন্তু আসলে সেটি নয়। প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা করা মাইগ্রেন নামক রোগটির শুধুমাত্র একটি অংশ। এছাড়া যে লক্ষণগুলো এই রোগে দেখা যায় সেগুলি হল, বমি বমি ভাব, ঝিমুনি, প্রচন্ড আলো সহ্য করতে না পারা এছাড়াও খুব জোরে শব্দ হলে তা সহ্য করতে না পারা এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক অন্ধত্বও দেখা যায়। যদিও মাইগ্রেনের এই লক্ষণগুলি এবং কারণ গুলি আলাদা আলাদা রোগীদের ওপর নির্ভর করে। এখানে এই মাইগ্রেন রোগটি নিয়ে কিছু আকর্ষণ পূর্ণ তথ্য আলোচনা করা হলো।

১) মাইগ্রেন হল পৃথিবীর তৃতীয় সাধারণ রোগঃ 

মাইগ্রেন হলো পৃথিবীর এমন তৃতীয় রোগ যা সাধারনত প্রায় সব মানুষেরই হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তির মাইগ্রেন নাও থেকে থাকে তবে সে অবশ্যই কাউকে জানবে তার চেনা জানা পরিজন এর মধ্যে যার মাইগ্রেন আছে। এই রোগটি জনবসতির মধ্যে 14.7 শতাংশ অর্থাৎ 7 জনের মধ্যে একজন কে আক্রান্ত করবেই।

২) ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এই রোগে বেশী ভোগেঃ 

পৃথিবীতে 1 বিলিয়ন লোকের এই মাইগ্রেন নামক রোগটি আছে। তার মধ্যে প্রায় 3-4 অংশ মেয়েরাই এই রোগে ভোগে। চিকিৎসকরা অনুমান করেন যে এটি নারী শরীরের হরমোনের চক্রের জন্য হয়।

৩) মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হওয়ার আগে থেকেই বোঝা যায়ঃ 

ঝিমুনি বমি বমি ভাব কিংবা অসহ্য মাথা যন্ত্রনা ছাড়াও মাইগ্রেন আসার আগে তা জানান দেয় আর বিভিন্নভাবে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শুরু হওয়ার 10 থেকে 30 মিনিট আগে থেকে তার আভাস দেওয়া শুরু হয়ে যায়।

৪) ছোটোদেরও মাইগ্রেন হওয়ার আশঙ্কা থাকেঃ 

মাইগ্রেন শুধুমাত্র বড়দের হয় না ছোটদেরও হয়ে থাকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় 10% স্কুলে যাওয়া শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত। এমনকি 18 মাসের একজন শিশু এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যদিও এক সমীক্ষায় জানা গেছে যেসব শিশু ছোট বয়স থেকে এই রোগে ভুগছে তাদের 25 বছর বয়সের পর থেকে আর এই রোগ শরীরে থাকে না।

৫) মাইগ্রেন জিন ঘটিত রোগঃ 

মাইগ্রেন একটি জিন ঘটিত রোগ হতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গেছে অন্তত 80 থেকে 90 শতাংশ এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা জানিয়েছেন তাদের পরিবারেও কেউ আছেন যার এই রোগ আছে। যেসব বাবা-মায়ের মাইগ্রেন থাকে তাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই রোগ আসার প্রায় 50% সম্ভাবনা থাকে।

আরও পড়ুনঃজেনে নিন মাইগ্রেনের চিকিৎসা সম্বন্ধে!

Leave a comment