মাথার ভেতরের রক্তচলাচলের তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হয়। রক্ত চলাচল কমে গেলে হঠাত্ করে চোখে সব অন্ধকার দেখা যায়, এবং পরবর্তীতে রক্ত চলাচল হঠাত্ বেড়ে গিয়ে প্রচন্ড মাথা ব্যথার অনুভূতি তৈরী হয়।মানসিক চিন্তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, ঘুমের ব্যঘাত, অবসাদ ইত্যাদি মাইগ্রেনের ব্যথার কারণ হতে হবে৷
কোন কোন খাদ্য মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃ
১. ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- ঢেকি ছাঁটা চালের ভাত ও এ চালের বিভিন্ন পদ, আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক।
২. বিভিন্ন ফল বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে।
৩. সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি নিয়মিত খেলে উপকার হয়।
৪. জল, হার্বাল টি; হার্বাল টির মধ্যে বেছে নিতে পারেন গ্রিন টি।
৫. ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমান ক্যালশিয়াম রয়েছে।
৬. আদার টুকরো বা রস দিনে ২ বার জিঞ্চার পাউডার জলে মিশিয়ে খেতে পারেন ।
মাইগ্রেন রোগ সারাতে চিকিৎসাঃ
১. বার বার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানের জন্য পিজোটিফেন, অ্যামিট্টিপটাইলিন, বিটাব্লকার জাতীয় ওষুধ কার্যকর।
২. মাথা ব্যথা শুরু হলে প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ কার্যকর। বমির ভাব কমানোর জন্যে মেটোক্লোর প্রোমাইড, ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. উপরোল্লিখিত ওষুধে মাথা ব্যথা না কমলে সুমাট্টিপটান, আরগোটামাইন জাতীয় ওষুধে কোন কোন রুগী অনেক আরাম বোধ করেন। সবচেয়ে বড় কথা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং মানষিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এর মাধমে অনেক ক্ষেত্রেই এই রোগের বার বার আক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মনে রাখবেন, সব মাথা ব্যথা মাইগ্রেন নয়, দৃষ্টি স্বল্পতা, ব্রেইনটিউমার, মাথায় রক্তক্ষরণ ইত্যাদি কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে, সেক্ষেত্রে চোখের ডাক্তারের পাশাপাশি স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন পড়ে।
আরও পড়ুনঃমাইগ্রেন কী এবং কেন হয়? জেনে নিন এটি হলে করণীয় কি?